খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) প্রশাসনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পাঁচটি হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।আজ মঙ্গলবার দুপুরে হলের তালা ভাঙা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের তালা ভাঙা হয়। পরে অমর একুশে হল, ড. এম এ রশিদ হলসহ অপর দুটির তালা ভাঙেন শতাধিক শিক্ষার্থী।
আবাসিক হলের তালা খোলার দাবিতে এর আগে দুপুর ১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন বিভাগের সামনে শিক্ষকদের কাছে যান শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের অনুরোধে সাড়া দেননি শিক্ষকরা।হল খোলার অনুরোধে সাড়া না পেয়ে উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের দাবিতে এক দফা ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কুয়েট স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে প্রেস ব্রিফিং করেন শিক্ষার্থীরা।
ব্রিফিংয়ে এক শিক্ষার্থী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘যেহেতু ভিসি কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, যেহেতু ভিসি ব্যর্থতার দায় নিতে অস্বীকার করেছেন, যেহেতু ভিসি নেট, পানি অফ করে হল থেকে বের করে দিয়েছেন, যেহেতু ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন, যেহেতু ভিসি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন, সেহেতু আমরা ছয় দফা থেকে এক দফা ঘোষণা করছি। এই ভিসিকে অপসারণ আমাদের একমাত্র দাবি। একই সঙ্গে নতুন ভিসির অধীন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আগামী ২ মে থেকে আবাসিক হল এবং ৪ মে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে। এই সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।